সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড (Swatch of No Ground)
নামকরণ
বহু আগে ব্রিটিশরা সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড নামটি দেয়। এর কারণ হলো সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড যেখানে শুরু সেখানে হঠাৎ করেই পানির গভীরতা বেড়ে গেছে ,ব্রিটিশদের ধারণা ছিলো সমুদ্রের এই খাদের কোন তল নাই এজন্য বলেছিলো সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড
সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ডকে স্থানীয়রা বলে নাই বাম ,সাগরে ফুট কিংবা মিটার না ওরা হিসাব করে বাম, দশ বাম, বিশ বাম, আর ঐ জায়গা নাই বাম ,মানে এই জায়গাটার কোন হিসেব নাই । জায়গাটা মারিয়ানা ট্রেঞ্চের মতো। বাংলায় বলে অতল স্পর্শী।কথিত অাছে, এখানেই ১৮৬৩ সালে গ্যাডফ্লাই নামে একটা ২১২ টন ওজন বিশিষ্ট গানবোট ভারত থেকে ইংল্যান্ডে বিপুল পরিমাণ ধনরত্ন নিয়ে যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ডু্বে যায়।
যে কারনে বিখ্যাত
বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রানির অবাধ বিচরণের কারণে সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড বিখ্যাত ।প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা এই গভীর খাদটি সমুদ্রের অন্যান্য অংশ থেকে গভীর বলে এখানে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক প্রাণীর অভয়ারণ্য । তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য তিমি,পপাস ডলফিন পৃথিবীর বৃহত্তম ইরাবতী ডলফিন,গোলাপি পিঠকূজো ইন্দো প্যাসিফিক ডলফিন ও মশ্রিন পিঠের (পাখনাহীন) ইমপ্লাইস ডলফিন ।
আসলে সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড ডলফিন পরপাস ও তিমির হটস্পট। ‘‘সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড’ পৃথিবীর একমাত্র সোয়াচ যেখানে এই তিনটি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী একসঙ্গে দেখা যায়।