অমর একুশে গ্রন্থমেলার ইতিহাস
একুশে বইমেলার ইতিহাস |
ফেব্রুয়ারি মাস ভাষার মাস, অমর একুশে গ্রন্থমেলার মাস। ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও.ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি নিবেদিত এ গ্রন্থমেলা বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক উৎসবও।
এদেশে গ্রন্থমেলার চিন্তাটি প্রথমে মাথায় আসে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক সরদার জয়েনউদ্দীনের। UNESCO'র শিশু-কিশাের গ্রন্থমালা উন্নয়নের একটি প্রকল্পে কাজ করার সময় ১৯৬৫ সালে তিনি নিজ প্রচেষ্টায় তৎকালীন কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি) নিচতলায় শিশু গ্রন্থমেলার ব্যবস্থা করেন, যা ছিল বাংলাদেশের প্রথম বইমেলা। এতে তিনি পুরােপুরি তৃপ্ত হতে না পারায় তার প্রচেষ্টায় ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে একটি গ্রন্থমেলার আয়ােজন করা হয়।
১৯৭২ সালে গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক থাকাকালীন আন্তর্জাতিক গ্রন্থবর্ষ উপলক্ষে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনি একটি আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলার আয়ােজন করেন। সেই থেকেই বাংলা একাডেমিতে বইমেলার সূচনা।
১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে একটি বিশাল জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সে উপলক্ষে স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী, মুক্তধারা প্রকাশনীর চিত্তরঞ্জন
সাহা এবং বর্ণমিছিলের তাজুল ইসলামসহ সাত-আটজন প্রকাশক একাডেমির ভেতরে
পূর্বদিকের দেয়ালঘেষে বই সাজিয়ে বসে যান ।সে বছরই প্রথম বাংলা একাডেমির
বিক্রয়কেন্দ্রের বাইরে একটি স্টলে বই বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।
একুশে বইমেলার ইতিহাস
১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে বর্তমানের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়। এরপর প্রতিবছর বইমেলা বিশাল থেকেবিশালাকার আকার ধারণ করে।
২০১০ সাল থেকে মেলায় পূর্ববর্তী বছরে প্রকাশিত বইয়ের গুণমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। এখাড়া স্টল ও অঙ্গসজ্জার | জন্য 'সরদার জয়েনউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার এবং সর্বাধিক বই ক্রয়ের জন্য সেরা ক্রেতাকে ‘পলান সরকার পুরস্কার প্রদান করা হয়।