প্রাচীন বাংলার জনপদ ও রাজনৈতিক ইতিহাস

    প্রাচীন বাংলার জনপদ ও রাজনৈতিক ইতিহাস


প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। ঐতিহাসিকগণ মনে করেন খ্রিস্টপূর্ব দেড় হাজার বছর আগে বাংলার প্রাচীন সভ্যতা গড়ে ওঠেছিল অজয় নদীর তীরে। প্রাচীনকালে বাংলা বলতে সমগ্র দেশকে বোঝানো হতো না। এর বিভিন্ন অংশ একাধিক নামে পরিচিত ছিল এবং এই অংশগুলোর ভৌগোলিক অবস্থিতি বহুলাংশে নির্ধারিত হয়েছিলভ‚-প্রকৃতি তথা নদীর স্রোতধারার মাধ্যমে।
প্রাচীনকালে বাংলা বিভিন্ন জনপদে বিভক্ত ছিল এবং এই জনপদবাসীরাই স্ব-স্ব জনপদের নামেই পরিচিতি লাভ করে। পাল আমল থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়। তবে গুপ্তদের কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার অধীনে বাংলাও ছিল একটি প্রদেশ।
গুপ্ত শাসনের পর এই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্ম হয়। এ অবস্থা চলে প্রায় একশ বছর। গোপাল নামে এক নেতা এ অরাজক অবস্থার অবসান ঘটান এবং পাল বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর প্রায় চারশ বছর পর বাংলায় পাল শাসনের অবসান হয় এবং বার শতকের মাঝামাঝি প্রতিষ্ঠিত হয় সেন শাসন

                         প্রাচীন বাংলার জনপদ

বাংলা নামে একটি অখন্ড দেশের জন্ম একদিনে হয়নি।প্রাচীন যুগে বাংলা বিভিন্ন জনপদে বিভক্ত ছিল এবং এই জনপদবাসীরাই স্ব-স্ব জনপদের নামেই পরিচিতি লাভ করে। তবে ভৌগোলিক পরিবেশ একদিকে যেমন প্রাকৃতিক পরিবর্তনের (নদীর ভাঙা-গড়া) সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা বিস্তার বা হ্রাসের মাধ্যমে জনপদগুলোর আয়তনও পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে এসব পৃথক পৃথক অংশগুলো এককথায় ʻজনপদ’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। জন বা জনগোষ্ঠীর অবস্থান বোঝাতে ব্যবহৃত হয় এই শব্দটি। অর্থাৎ এই জনপদগুলোর অধিকাংশের নামকরণ হয়েছিল প্রাচীন জনগোষ্ঠীর নামানুসারে। 


প্রাচীন কাল থেকে আরম্ভ করে আনুমানিক ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকে প্রাচীন বাংলা পুণ্ড্র , গৌড়, রাঢ়, সূহ্ম, তাম্রলিপি, সমতট, বঙ্গ ইত্যাদি জনপদে বিভক্ত। এই জনপদগুলো স্বতন্ত্র ও পৃথক, মাঝে মাঝে বিরোধ মিলনে একের সাথে অন্যের যোগাযোগের বিষয়টি লক্ষ করা যায়। তবে প্রত্যেকেই যে স্বতন্ত্র সে বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত।  এর যাত্রা শুরু হয় জনপদগুলোর মধ্য দিয়ে। গৌড়, বঙ্গ, পুন্ড্র, হরিকেল, সমতট, বরেন্দ্র এরকম প্রায় ষোলটি জনপদের কথা জানা যায়।

প্রাচীন জনপদ

অবস্থান

পুন্ড্র ( সবচেয়ে প্রাচীনতম জনপদ)

বৃহত্তর বগুড়া(মহাস্থানগড়), রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চল।রাজধানী ছিল পুন্ড্রুনগর যা বর্তমানে মহাস্থানগড়।

বরেন্দ্র

রাজশাহী বিভাগের উত্তর-পশ্চিমাংশ, বগুড়ার পশ্চিমাংশ, রংপুর ও দিনাজপুরের কিছু অংশ।

বঙ্গ

বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর।

সমতট

বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালী। রাজধানী ছিল বড়কামতা যা বর্তমানে কুমিল্লার দেবীদ্বার থানায় অবস্থিত।

চন্দ্রদ্বীপ

বরিশাল, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, খুলনা ও গোপালগঞ্জ।

গৌড়

মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও চাপাইনবাবগঞ্জ। রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ।

শ্রীহট্ট

সিলেট অঞ্চল।

হরিকেল

পার্বত্য সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম।

তাম্রলিপি

মেদেনীপুর জেলার তমলুকই ছিল তাম্রলিপি।

রাঢ়

বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার দক্ষিন অংশ ছিল রাঢ়ের অবস্থান। রাঢ়ের অপর নাম সূক্ষ।রাজধানী কোটি বর্ষ।



পুণ্ড্র বা বরেন্দ্রী

পুণ্ড্র ছিল পূর্বাঞ্চলের জনপদসমূহের মধ্যে খুব সম্ভবত প্রাচীনতম। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের (আনুমানিক) মহাস্থান ব্রাহ্মী লিপিতে উল্লিখিত পুদনগল (পুণ্ড্র নগর) এবং বগুড়া যে অভিন্ন তা একাধিক উৎস থেকে প্রমাণ করা যায়। প্রাচীন এই জনপদের সীমানা চিহ্নিত করে ড. নীহাররঞ্জন রায় লিখেছেন, 

“পুণ্ড্র বর্ধনের কেন্দ্র বা হৃদয়স্থানের একটি নতুন নাম পাইতেছি দশম শতক হইতে; এ নাম বরেন্দ্র অথবা বরেন্দ্রী।” 

অর্থাৎ এই প্রাচীন জনপদটি ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে দুটো ভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ করেছিল। কতিপয় লিপি প্রমাণে এ কথা বলা যায় যে, বরেন্দ্র পুণ্ড্র বর্ধনেরই অংশবিশেষ। মধ্যযুগের মুসলিম ঐতিহাসিকরা বরেন্দ্রিকে বলতেন বরীন্দ্র। অবশ্য বরেন্দ্র বলতে প্রাচীন বরেন্দ্রিক মতো বিশাল এলাকাকে বুঝাতো না।

বঙ্গ

বঙ্গ একটি প্রাচীন জনপদ। ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে একটি উপজাতির নাম হিসেবে বঙ্গের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। মহাভারত, রামায়ণ ও হরিবংশেও রয়েছে বঙ্গ প্রসঙ্গ। মহাভারতের আদি অন্যান্য জনপদের সাথে উচ্চারিত হয়েছে বঙ্গের নাম।
মহাকবি কালীদাসের রঘুবংশ কাব্যে আছে বঙ্গের অবস্থান ও সীমানা সম্পর্কিত কিছু তথ্য। তিনি ভাগীরথী ও পদ্মার স্রোত মধ্যবর্তী এলাকায় যে ত্রিভুজাকৃতি ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে তাকেই বঙ্গদের অঞ্চল বলেছেন। আর এ অঞ্চলই সম্ভবত টলেমির ‘গঙ্গরিডাই’

প্রাচীন শিলালিপিতে বঙ্গের দুটি অঞ্চলের নাম পাওয়া যায়। একটি বিক্রমপুর বঙ্গ অন্যটি নাব্য বঙ্গ।বর্তমানে নাব্য বলে কোনো জায়গা নেই। অনুমান করা যায় ঢাকা-ফরিদপুর-বরিশাল এলাকা নাব্য বঙ্গের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বাংলায় মুসলমান শাসনামলের প্রাথমিক পর্যায়ে ‘বঙ্গ’ বলে বাংলার দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব অংশকেই বুঝানো হতো। সুতরাং বঙ্গের এই ভৌগোলিক পরিচিতি হিন্দু ও বৌদ্ধ যুগ পেরিয়ে মুসলিম যুগের প্রাথমিক পর্যায়েতো বটেই, সম্ভবত ‘বাঙ্গালাহ’ নামের বিকাশ পর্যন্তই ছিল।

মধ্যযুগের বিখ্যাত মুঘল ঐতিহাসিক আবুল ফজল রচিত আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে পাওয়া যায় যে, বঙ্গদেশের উত্তরকালীন নাম বঙ্গাল।কারণ এ দেশের প্রাচীন রাজাগণ সারাদেশে চওড়া ‘আল’ নির্মাণ করতেন। সেজন্যে ‘বঙ্গ’ ও ‘আল’ শব্দ দুটির যোগে ‘বঙ্গাল’ নামের উৎপত্তি হয়েছে। এ থেকে ধারণা করা হয় যে পানি থেকে শস্যক্ষেত রক্ষার জন্য বড় বড় ‘আল' বাঁধা হতো এবং তার ফলে এ অঞ্চলটি ‘বঙ্গাল’ নামে পরিচিত হয়।

সমতট, পট্টিকেরা

দক্ষিণ পূর্ব বাংলার জনপদ সমতট নামটি বর্ণনামূলক এবং এর অর্থ তটের সমান্তরাল। চতুর্থ শতকের সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ লিপিতে তাঁর রাজ্যের পূর্ব সীমায় সমতটের উল্লেখ রয়েছে। কালিদাসের রঘুবংশ কাব্যের মাধ্যমে জানা যায় যে, সমতট বঙ্গের পূর্বে অবস্থিত ছিল। সপ্তম শতকে সমতটে এসেছিলেন হিউয়েন সাঙ। তিনি বৌদ্ধ সংস্কৃতির বিদ্যমান অবস্থার যে বর্ণনা রেখে গেছেন তা থেকে বোঝা যায় যে, কুমিল্লার লালমাই অঞ্চলই সমতট।

মূলত মেঘনা-পূর্ববতী অঞ্চলই সমতট বলে পরিচিত ছিল এবং এ অঞ্চলের কেন্দ্র ছিল কুমিল্লার নিকটবর্তী ‘লালমাই’ এলাকা। একেবারে সঠিকভাবে সমতটের সীমা নির্ধারণ না করা গেলেও ত্রিপুরা (কুমিল্লা) ও নোয়াখালী অঞ্চলই ছিল সম্ভবত প্রাচীন সমতট।

রাঢ়, তাম্রলিপ্তি

বিভিন্ন ঐতিহাসিক উৎস থেকে বলা যায় যে, রাঢ় বলতে পশ্চিম বাংলার দক্ষিণাঞ্চলকেই বুঝানো হতো। এটি গঙ্গা নদীর দক্ষিণ ও পশ্চিম ভাগে সীমাবদ্ধ ছিল। জনপদটি দুটি অংশে বিভক্ত ছিল। একটি ছিল দক্ষিণ রাঢ় এবং অন্যটি ছিল উত্তর রাঢ়। এই উত্তর ও দক্ষিণ রাঢ়ই ছিল যথাক্রমে বজ্রভ‚মি ও সূহ্মভ‚মি।

রাঢ়ের প্রধান নগর বা রাজধানী ছিল কোটিবর্ষ। রাঢ় বা সূহ্মদেশের অন্তর্গত তাম্রলিপ্তের কথা টলেমির ভ‚গোলে উল্লিখিত ছিল । অনেক ঐতিহাসিক মেদিনীপুর জেলার পূর্বপ্রান্ত অবস্থিত আধুনিক তমলুককে প্রাচীন তাম্রলিপ্ত বলে চিহ্নিত করেছেন। শুধু বাংলা নয় এটি প্রাচীন ভারতেরও পূর্বাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বন্দর।

গৌড়

ধারণা করা হয় যে, গুড় উৎপাদনের কেন্দ্র বলে গৌড় নগর ও দেশের নামের উদ্ভব হয়। আর হয়ত এই গৌড়নগরকে ঘিরেই পরে গৌড় জনপদ গড়ে উঠেছিল। ‘গৌড়’ নামটি সুপ্রাচীন হলেও এর অবস্থিতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা কষ্টসাধ্য। বাংলার প্রাচীন জনপদগুলো যে যুগে যুগে সীমানা সম্প্রসারণ করেছে তার বড় উদাহরণ হলো গৌড়। এই জনপদের খ্যাতি এতই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, সমগ্র বাংলাকেই সময়ে সময়ে গৌড়দেশ বিবেচনা করা হতো।

পূর্ব ভারতীয় দেশসমূহের সামগ্রিক নাম হিসেবে এমনকি উত্তর ভারতের আর্যাবর্তের নাম হিসেবেও কখনো কখনো গৌড়ের ব্যবহার দেখা যায়। সেনবংশীয় রাজারা ‘গৌড়েশ্বর’ উপাধি গ্রহণ করে গৌরববোধ করতেন। ব্যাপক অর্থে ‘গৌড়’ বলতে অনেক সময় বাংলা ভাষাভাষী সমগ্র অঞ্চলকে বুঝাত। আদি গৌড়ের রাজনীতিক ক্ষমতার সম্প্রসারণের ফলে এর সীমানা বৃদ্ধি পেতো।

আদিকালে গৌড় বলতে বর্তমানের মুর্শিদাবাদ জেলা ও মালদা জেলার দক্ষিণাংশকে বুঝাত। হিউয়েন সাঙ  শশাঙ্ককে কর্ণসুবর্ণ দেশের সম্রাট বলেছেন এবং হর্ষচরিত গ্রন্থে শশাঙ্ককে ‘গৌড়াধিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কর্ণসুবর্ণ দেশ ও গৌড়দেশ অভিন্ন। গৌড়ের রাজধানী শহর ছিল কর্ণসুবর্ণ

মধ্যযুগের খ্যাতিমান মুসলিম পণ্ডিত  আল বেরুনির বিবরণ অনুযায়ী পূর্বভারতের বিভিন্ন দেশের অর্থাৎ বর্তমান বাংলা, উড়িষ্যা, আসামের আদি মধ্যযুগীয় লিপির প্রকৃত রূপ হলো এই “গৌড়ীয় লিপি”।

মুসলিম যুগে অঞ্চলটি কখনো ‘গৌড়’ আবার কখনো লক্ষণাবতী নামে পরিচিত ছিল।

হরিকেল
হরিকেল জনপদের কথা প্রথম জানা যায় প্রথম শতকের চট্টগ্রামে প্রাপ্ত লিপিতেচন্দ্রবংশীয় লিপিতেও হরিকেল রাজ্যের কথা আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত দুটি প্রাচীন গ্রন্থের লিপিতে হরিকোল (হরিকেল) ও বর্তমান  সিলেট বিভাগ অভিন্ন উলি- খিত হয়েছে।  অনেকে ধারণা করেন যে হরিকেল জনপদ ছিল না, এটি বঙ্গের সাথে যুক্ত ছিল।

বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে এ কথা বলা যায় যে, জনপদগুলোর নির্দিষ্ট সীমারেখা নির্ণয় করা বা যুগে যুগে তাদের সীমার বিস্তার ও সংকোচনের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা দুরূহ কাজ। তারপরও প্রাপ্ত নানা তথ্যের মাধ্যমে আমরা জনপদগুলোর ভৌগোলিক কাঠামো সম্পূর্ণ সঠিক না হলেও আংশিক সঠিকভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। রাজনৈতিক, ভৌগোলিক নানা প্রেক্ষাপটে এসব জনপদগুলোয় সবসময়েই চলেছিল ভাঙা-গড়ার খেলা। ভবিষ্যতে হয়ত আরও নানা তথ্যের আবিষ্কার আমাদের সামনে জনপদগুলোর পূর্ণাঙ্গ রূপ তুলে ধরবে।


গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি

  • ঐতরেয় আরণক গ্রন্থে সর্বপ্রথম ‘বঙ্গ’ শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়।

  • মোগল সম্রাট আকবরের সভাকবি আবুল ফজল তাঁর ‘আইন-ই-আকবরি’ গ্রন্থে সর্প্রথম দেশবাচক বাংলা শব্দের ব্যবহার করেন। তিনি ‘বাংলা’ নামের উৎপত্তি সর্ম্পকে দেখান, এদেশের প্রাচীন নাম ‘বঙ্গ’ এর সাথে বাধঁ বা জমরি সীমানা সূচক ‘ আল’ যোগে ‘বাংলা’ শব্দ গঠিত হয়।

  • কলহনের ভারতীয় প্রাচীন ইতিহাস গ্রন্থ ‘রাজতরঙ্গিনী’ গ্রন্থে মৌর্য আমল হতে শুরু করে কাশ্মীরের রাজাদের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে।

  • পাণিনি গ্রন্থে প্রথম ‘গৌড়’র উল্লেখ পাওয়া যায়।

  • কালিদাসের গ্রন্থে ‘বঙ্গ’ জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায়।

  • প্রাচীন শিলালিপিত ‘বিক্রমপুর’ ও ‘নাব্য’ নামে বঙ্গের দুইটি অঞ্চলের উল্লেখ পাওয়া যায়। বতর্মান ফরিদপুর বরিশাল ও পটুয়াখালী নিম্ন জলাভূমি ছিল ‘নাব্যের’ অর্ন্তভুক্ত ।

  • বাকেরগঞ্জ বলতে বরিশাল, বাগেরহাট ও খুলনাকে বুঝায়

  • ইতিহাসের জনক প্রাচীন গ্রীসের হেরাডোটাস।

  • প্রাগৈতিহাসিক যুগ হলো পাথরের যুগ। পাথরের পরবর্তী যুগ ধাতুর যুগ।

  • বিশ্ব সভ্যতার যাত্রা শুরু হয় খিস্ট্রপূর্ব ৫০০০ অব্দে।

  • মৌর্যদের আমল হতে বাংলাকে সাম্রাজ্যভূক্ত করা হয় ও স্বাধীন বাংলা রাজ্যের গোড়াপত্তন হয়।বাংলার প্রথম স্বাধীন নরপতি হলো শশাঙ্ক।

  • বাংলার স্বাধীনতার সূচনা করেন ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ।

  • বাংলায় প্রথম নৌবাহিনী গড়ে তোলেন গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ।

  • সমটতের রাজধানী ‘বড় কামতা’।