বাংলাদেশ পুলিশ এর A to Z

                         

    বাংলাদেশ পুলিশ:

বাংলাদেশ পুলিশ মূলত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যা সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে বিরোধী কোন কর্মকান্ড প্রতিরোধ এবং আদালতের হুকুম মান্য করা এদের কাজ। বাহিনীর প্রধান কে বলা হয় আইজিপি অথবা ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ।বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সময় হল ১৯৭১ সাল।


তবে উন্নত অনেক দেশে পুলিশ বাহিনীকে বিচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখা হয়েছে।

পুরস্কার, = বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল/ বিপিএম, রাষ্ট্রপতি পুলিশ মেডেল/ পিপিএম

জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ

•পুলিশের মহাপরিদর্শক/ইনস্পেকটর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি)

•পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক/এডিশনাল ইনস্পেকটর জেনারেল অব পুলিশ (এডিশনাল আইজিপি)

•ডেপুটি ইনস্পেকটর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি)

•এডিশনাল ডেপুটি ইনস্পেকটর জেনারেল অব পুলিশ (এডিশনাল ডিআইজি)

•সুপারিনটেন্ডেন্ট অব পুলিশ (এসপি)/এ্যাসিস্টেন্ট ইন্সপেকটর জেনারেল অব পুলিশ (এআইজি, সদর দপ্তরের ক্ষেত্রে)/স্পেশাল সুপারিনটেন্ডেন্ট (এসএস, এসবি এবং সিআইডিতে), সুপারিনটেন্ডেন্ট অব রেলওয়ে পুলিশ (এসআরপি, রেলওয়ে পুলিশের ক্ষেত্রে)

•এডিশনাল সুপারিনটেন্ডেন্ট অব পুলিশ (এডিশনাল এসপি)

•সিনিয়র এ্যাসিস্টেন্ট সুপারিনটেন্ডেন্ট অব পুলিশ (সিনিয়র এএসপি)

•এ্যাসিস্টেন্ট সুপারিনটেন্ডেন্ট অব পুলিশ (এএসপি)

মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাগণের পদবীসমূহ


• পুলিশ কমিশনার
• এডিশনাল কমিশনার অব পুলিশ
• জয়েন্ট কমিশনার অব পুলিশ
• ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসি)
• এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (এডিসি)
• সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব পুলিশ (সিনিয়র এসি)
• এ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব পুলিশ (এসি)
শিল্প পুলিশ এবং RAB কর্মকর্তাদের পদবীসমূহ
• ডিরেক্টর জেনারেল
• এডিশনাল ডিরেক্বটর জেনারেল
• ডিরেক্টর
• ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডি)
• সিনিয়র এ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর (সিনিয়র এডি)
• এ্যাসিস্টেন্ট ডরেক্টর (এডি)
অধীনস্ত কর্মকর্তাগণ

নিরস্ত্র শাখা


• ইনস্পেকটর অব পুলিশ
• সাব-ইন্সপেকটর (এস আই)/টাউন সাব ইন্সপেকটর (টিএসআই)
• এ্যাসিস্টেন্ট সাব-ইন্সপেকটর (এএসআই)/আন আর্মড হেড কনস্টেবল (এইচসি)
• কনস্টেবল

সশস্ত্র শাখা

• আর্মড ইন্সপেকটর
• আর্মড সাব-ইন্সপেকটর (আর্মড এসআই)/সুবেদার
• হেড কন্সটেবল(এইচ সি)/হাবিলদার
• নায়েক
• কনস্টেবল

শিল্প পুলিশ

• ডেপুটি এ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর (ডিএডি)
• সার্কেল কমান্ডার (সাব ইন্সপেক্টর)
• এ্যাসিস্টেন্ট সাব ইন্সপেকটর (এএসআই)/হেড কনস্টেবল
• নায়েক
• কনস্টেবল

RAB


• ডেপুটি এ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর (ডিএডি)
• সার্জেন্ট/সাব ইন্সপেক্টর (এসআই)
• এ্যাসিস্টেন্ট সাব ইন্সপেকটর (এএসআই)
• নায়েক
• কনস্টেবল

ট্রাফিক বিভাগ

• ট্রাফিক ইন্সপেকটর (টিআই)
• সার্জেন্ট/টাউন সাব-ইন্সপেকটর (টিএসআই)
• এ্যাসিস্টেন্ট সাব ইন্সপেকটর (এএসআই)/আন আর্মড হেড কনস্টেবল (এইচসি)
• ট্রাফিক কনস্টেবল

শাখা :


• রেঞ্জ পুলিশ
• স্পেশাল ব্রাঞ্জ (এসবি)
• ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)
• রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)
• হাইওয়ে পুলিশ
• ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পুলিশ
• পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)
• স্পেশাল সিকিউরিটি অব প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন)
• আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)
• এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এএপি)
• র‌্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)
• নৌপুলিশ
• পর্যটন পুলিশ
• কমিউনিটি পুলিশ বাংলাদেশ

রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ


• রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য মেট্রোপলিটান শহর গুলো ছাড়া সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে পৃথক পৃথক রেঞ্জে ভাগ করা হয়েছে। জেলা পুলিশের অধিকর্তা হলেন সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশ (এসপি)।

• প্রতিটি জেলায় সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশকে সহযোগিতার জন্য এক বা একাধিক অতিরিক্ত সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশ পদায়ন করা হয়।

প্রত্যেকটি পুলিশ সার্কেল কয়েকটি থানার সমন্বয়ে গঠিত। একজন পুলিশ পরিদর্শক থানা অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তার অধীনে কয়েকজন সাব-ইন্সপেক্টর পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। বাংলাদেশী আইনে একমাত্র সাব-ইন্সপেক্টর পদধারী অফিসার কারও বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করতে পারেন।

• প্রত্যেকটি রেঞ্জের অধীনে নিজস্ব রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স(আরআরএফ) এবং জেলা পুলিশের অধীনে নিজস্ব স্পেশাল আর্মড ফোর্স(এসএএফ) জরুরী অবস্থা, বেআইনী সমাবেশ বা দাঙ্গা মোকাবেলার জন্য মেইনটেইন করে থাকেন। এরা পুলিশ সুপার অথবা তদোর্ধ কর্মকর্তার নির্দেশে মোতায়েন

অন্যান্য রেঞ্জঃ

o রেলওয়ে রেঞ্জ
o হাইওয়ে রেঞ্জ

মেট্রোপলিটন পুলিশ


মেট্রোপলিটন আইনের অধীনে পুলিশ কমিশনারেট সিষ্টেম অনুসারে ছয়টি বিভাগীয় শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান হলেন পুলিশ কমিশনার।

গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)

গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একটি বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট। এটি অত্যন্ত দক্ষ, বাস্তবধর্মী ও প্রযুক্তি নির্ভর শাখা। প্রত্যেক মেট্রোপিলটন পুলিশ এবং জেলা পুলিশের নিজস্ব গোয়েন্দা শাখা আছে।

বিশেষ অস্ত্র ও কার্যপদ্ধতি (SWAT)

Special Weapons And Tactics (বিশেষ অস্ত্র ও কার্যপদ্ধতি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিটের একটি অভিজাত শাখা। ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে এটি গঠন করা হয়।
ট্রাফিক পুলিশ
ট্রাফিক পুলিশ ছোট শহরগুলিতে জেলা পুলিশের অধীনে এবং বড় শহরগুলিতে মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে কাজ করে। ট্রাফিক পুলিশ ট্রাফিক আইনকানুন মেনে চলতে যানবাহনগুলোর ড্রাইভারদের বাধ্য করে এবং অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

বিশেষ শাখা (এসবি)

জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ করে পুলিশের বিশেষ শাখা।

ইমিগ্রেশন পুলিশ


বিদেশ হতে বাংলাদেশে আগত এবং বিদেশের উদ্দেশ্যে গমনরত বাংলাদেশী ও বিদেশী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিসেবা প্রদান করে।
অপরাধ অনুসন্ধান বিভাগ (সিআইডি)
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সন্ত্রাসবাদ, খুন ও অর্গানাইজড ক্রাইম মোকাবেলা, তদন্তের কাজ করে থাকে। অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রয়োজনে সিআইডি তাদের ফরেনসিক সমর্থন দেয়। সিআইডির সদর দপ্তর ঢাকার মালিবাগে। সিআইডি ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল এবং ফরেনসিক ট্রেনিং স্কুল নামে দুটি প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে।

রেলওয়ে পুলিশ (GRP)

রেলওয়ে পুলিশ বাংলাদেশ রেলওয়ের সীমানায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসাবে কাজ করে।
হাইওয়ে পুলিশ
মহাসড়ক নিরাপদ করা এবং যানজটমুক্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকার হাইওয়ে
শিল্পাঞ্চল পুলিশ
শ্রম আইন, ২০০৬ বাস্তবায়নে এবং শিল্প এলাকায় অশান্তি প্রতিরোধ কল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ পূর্বক সম্ভাব্য শ্রম অসন্তোষ মোকাবেলার উদ্দেশ্যে ২০১০ সালের ৩১ শে অক্টোবর শিল্প পুলিশ যাত্রা শুরু করে।

বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন (SPBn)

২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ভ্রমনরত বিদেশী রাষ্ট্রিয় অতিথিদের নিরাপত্তা রক্ষায় বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন নামে পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট প্রতিষ্টা করা হয়।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একটি এলিট ইউনিট হচ্ছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন(এপিবিএন)।একটি মহিলা ব্যাটেলিয়ন সহ সর্বমোট এগারোটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে। একজ়ন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এর প্রধান।

বিমানবন্দর সশস্ত্র পুলিশ (AAP)
এপিবিএনের একটি বিশেষায়িত ইউনিট বিমানবন্দর সশস্ত্র পুলিশ (AAP) হিসাবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বিমানবন্দর এলাকার মধ্যে নিয়োজিত আছে। বর্তমানে অষ্টম এপিবিএন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকার নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত আছে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান(র‌্যাব)

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন বা র‍্যাব (RAB) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত চৌকস বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তরের অধীনে পরিচালিত এই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ গঠিত হয় এবং একই বছরের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) তাদের কার্যক্রম শুরু করে। [৯] বাংলাদেশ পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, আনসার ও সিভিল প্রশাসনের সদস্যদের নিয়ে র‌্যাব গঠিত হয়। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশের নিয়ন্ত্রনে মহাপরিচালক র‌্যাব এই বাহিনী পরিচালনা করেন।

নৌপুলিশ

নৌপুলিশ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একটি অন্যতম শাখা। সাধারণত সামুদ্রিক অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সীমান্তবর্তী সামুদ্রিক অঞ্চলের নিরাপত্তায় পুলিশের এই শাখার সদস্যবৃন্দ দায়িত্বপালন করে থাকেন।

পর্যটন পুলিশ

পুলিশ অভ্যন্তরীণ ওভারসাইট (PIO)
সারাদেশে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নজরদারী করতে ও তাদের উপর গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পুলিশ অভ্যান্তরীন ওবারসাইট নামে একটি বিশেষায়িত বিভাগ কাজ করে।
পুলিশ ইউনিট
রেঞ্জ পুলিশ
• পুলিশ রেঞ্জ
• পুলিশ জেলা
• সার্কেল
• থানা
• তদন্ত কেন্দ্র/পুলিশ ফাড়ি/পুলিশ ক্যাম্প
মেট্রোপলিটন পুলিশ
• বিভাগ
• অঞ্চল
• থানা
• পুলিশ ফাড়ি/পুলিশ ক্যাম্প