Corona's impact on unemployment and poor growth in Bangladesh
"বাংলাদেশে দারিদ্র এবং বেকারত্ব বৃদ্ধিতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব"
The global epidemic of Corona is killing people at an increasing rate and crippling the world economy. The economy is facing a Great Depression, which is expected to surpass all previous Great Depression. So, now we have to think about the issue of Corona's impact on the economy, and also think about the next economic restructuring. Unemployment will emerge as a major problem due to the terrible recession.
বৈশ্বিক মহামারী করোনায় ক্রমবর্ধমান হারে শুধু মানুষই মারা যাচ্ছে না, একই সঙ্গে তা বিশ্ব অর্থনীতিকেও ধামিয়ে দিচ্ছে। অর্থনীতি মহামন্দার সম্মুখীন, যা অতীতের সব মহামন্দাকেই ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব মোকাবেলার বিষয়টি নিয়ে তাই এখনই ভাবতে হবে। ভাবতে হবে করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনর্গঠন নিয়েও। ভয়াবহ মন্দার কারণে বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হবে।
The retrenchment has already started. The International Labor Organization (ILO) fears that the adverse effects of the coronavirus on the global economy could cause 3.3 billion working people to become partially or completely unemployed.
ইতোমধ্যে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তাতে ৩৩০ কোটি কর্মক্ষম মানুষের আংশিক বা পুরোপুরি বেকার হয়ে যেতে পারে।
The United Nations says no such crisis has occurred since World War II. In December last year, the ILO had predicted that 2.5 crore people would become unemployed again. However, as the prevalence of coronavirus is long, that prognosis is no longer valid. In addition, in the second quarter of 2020, the company thinks that global organizations can reduce the working hours by 7.8 percent. This will create the reality of about 200 million full-time working people losing their jobs.
জাতিসংঘের এই সহযোগী সংগঠন বলেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন সংকট আর আসেনি। গত বছর ডিসেম্বরে আড়াই কোটি মানুষের নতুন করে বেকার হয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএলও। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দীর্ঘ হওয়ায় সেই পূর্বাভাস আর টিকছে না। এছাড়া ২০২০ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলো ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি। এটি প্রায় ২০ কোটি পূর্ণকালীন কর্মজীবী মানুষের চাকরি হারানোর বাস্তবতা সৃষ্টি করবে।
The organization also said that 24.7 million more people will become jobless, on top of the 188 million registered as unemployed in 2019.
সংস্থাটি আরও বলেছে যে, ২০১৯ সালের নিবন্ধিত বেকার হিসাবে ১৮৮ মিলিয়নের সাথে আরও ২৪.৭ মিলিয়ন মানুষ বেকার হয়ে পড়বে।
Self-employment in developing countries like Bangladesh often serves to cushion the impact of economic shifts. But it might not do so this time due to severe restrictions being placed on the movement of people and goods. Reduction in access to work will also mean large income losses for workers. The ILO study estimates these US$3.4 trillion by the end of 2020. This will translate into falls in the consumption of goods and services, in turn affecting the prospects for businesses and economies.
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে আত্ন-কর্মসংস্থান প্রায়শই অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। তবে লোক ও পণ্যদ্রব্য চলাচলে গুরুতর বিধিনিষেধের কারণে এটি এখন তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না । কাজের পরিধি হ্রাস মানে শ্রমিকদের জন্য বৃহত আয়ের ক্ষতি। আইএলও সমীক্ষা দেখা গিয়েছে,২০২০ শেষে এই ক্ষতির পরিমাণ দাড়াবে ৩.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যা বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাগুলির ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবে, যার ফলে ব্যবসা এবং অর্থনীতির সম্ভাবনাগুলিকে প্রভাবিত করবে।
The number of people who live in poverty despite holding one or more jobs will also increase significantly. It is estimated that between 8.8 and 35 million more people will be added to the ranks of the working poor.
এক বা একাধিক চাকরি থাকা সত্ত্বেও দারিদ্র্যে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। অনুমান করা যায় যে, ৮.৮ থেকে ৩৫ মিলিয়ন শ্রমজীবী মানুষ নতুনভাবে দরিদ্রদের মধ্যে যোগ হবে।
The strain on incomes resulting from the decline in economic activities will devastate workers close to or below the poverty line. Therefore, it needs urgent large-scale and coordinated measures to protect workers in the workplace. These includes support jobs and income through social protections, paid leave and other subsidies.
অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ হ্রাসের কারনে আয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করলে দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি বা তার নিচে শ্রমিকরা নিঃস্ব হয়ে যাবে। সুতরাং, কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের রক্ষার জন্য বৃহত আকারে এবং সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া অতীব জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক সুরক্ষা, বেতনসহ ছুটি এবং অন্যান্য ভর্তুকির মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও আয়ের সহায়তা দেওয়া।
One of the major strengths of our economy is the garment sector which is going on somehow now. A large part of the employment depends on the garment industry. Our economy is prospering by exporting to this sector which has potential and a strong position in the economy. Because most of the export products of Bangladesh are garments. Exports to Europe and America have been affected by the corona.
আমাদের অর্থনীতির একটি বড় শক্তি হলো গার্মেন্ট খাত যা এখন কোনো রকমে চলছে। পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর কর্মসংস্থানের একটি বিশাল অংশ। সম্ভাবনাময় এবং অর্থনীতিকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এই খাতে রপ্তানি করে আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগই পোশাক। ইউরোপ এবং আমেরিকায় করোনার প্রভাবের কারণে রপ্তানিতে প্রভাব পড়েছে।
Necessary steps have to be taken to keep the daily necessities market stable. The effects of coronavirus will eventually subside. The world will try to turn around. The world turned around even after the last Great Depression. It should be noted that no one's job should be lost during this time. The government has announced incentives. Staff layoffs will not be a permanent solution. Bangladesh's economic growth is in a strong position. In order to maintain this condition, the continuity of the economy must be maintained.
নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রভাব একসময় স্তিমিত হয়ে আসবে। বিশ্ব চেষ্টা করবে ঘুরে দাঁড়াতে। বিগত মহামন্দার পরেও বিশ্ব ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। লক্ষ রাখতে হবে, এই সময়টায় কারও চাকরি যেন না যায়। সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। কর্মী ছাঁটাই স্থায়ী কোনো সমাধান হবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এই অবস্থা বজায় রাখতে হলে অর্থনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
Bangladesh's economic growth is in a strong position. In order to maintain this condition, the continuity of the economy must be maintained. Emphasis should also be placed on the diversification of export products to prevent the economy from slowing down due to the Corona effect. However, this push will not come from one side only. It will have an impact on technology products, garment products, daily necessities, and even communications. Thus, the government is struggling to take multi-pronged measures to eliminate the problem of unemployment in the country.
বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এই অবস্থা বজায় রাখতে হলে অর্থনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। করোনার প্রভাবে অর্থনীতির গতি ধীর হওয়ার অবস্থা রুখতে রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যের ওপরও জোর দিতে হবে। তবে এ ধাক্কা কেবল একদিক থেকে আসবে না। প্রযুক্তিপণ্য, গার্মেন্টপণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, এমনকি যোগাযোগ ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়বে। এমনিতেই দেশের বেকার সমস্যা দূর করার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েও কিনারা করতে হিমশিম খাচ্ছে।
Now if its number increases further then the situation will be dire. So the problem of unemployment must be handled by skilled hands.
এখন যদি এর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। তাই বেকারত্বের সমস্যা দক্ষ হাতে সামাল দিতে হবে।করোনার প্রভাবে অর্থনীতির গতি ধীর হওয়ার অবস্থা রুখতে রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যের ওপরও জোর দিতে হবে।
0 Comments