পুঁথি সাহিত্য

 পুঁথি সাহিত্য

অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে আরবি-ফারসি হিন্দি বাংলা শব্দ মিশ্রিত এক ধরনের বিশেষ ভাষারীতিতে যেসব কাব্য রচিত হয়েছিল তা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে পুঁথি সাহিত্য হিসেবে পরিচিত ।পুথি শব্দটিকে সংক্ষিপ্ত আকারে ম্যানুস্ক্রিপ্ট বলেও গণ্য করা হয়।


কলকাতার বটতলার সস্তা ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হয় এই ধারার কাব্য দেশময় প্রচারিত হয়েছিল বলে একে বটতলার পুঁথি নামে ও চিহ্নিত করা হয় ।


কিছু গবেষক এই শ্রেণীর কাব্য কে আরবি ফারসি শব্দের প্রাচুর্যপূর্ণ ব্যবহারের জন্য দোভাষী পুঁথি নামে অভিহিত করেছেন তবে এই ধরনের সাহিত্য শুধু দুটি ভাষা নয় বাংলা হিন্দি আরবি ফারসি তুর্কি ভাষা সংমিশ্রণ ঘটেছে ।


 পুঁথি সাহিত্যের কবি


 ফকির গরীবুল্লাহ ,আমির হামজা,  কৃষ্ণ রাম দাস ,সৈয়দ হামজা , মালে মুহাম্মদ, মোহাম্মদ খাতির আব্দুর রহিম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।


 কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য



  • পুঁথি সাহিত্যের ধারায় প্রথম কাব্য রচনা করেন পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার কবি কৃষ্ণ দাস  ।

  • পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক জনপ্রিয় কবি গরিব ফকির গরীবুল্লাহ ।

  • সোনাভান কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা হলেন ফকির গরীবুল্লাহ ।

  • দোভাষী পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক কবি ফকির গরীবুল্লাহ ।

  •  দোভাষী পুঁথি সাহিত্যের রচয়িতা দের বলা হয়  শায়ের ।

  •  বটতলার পুঁথিরভাষা ছিল মিশ্র ভাষা ।

  •  পুঁথি সাহিত্যের অন্যতম কবি সৈয়দ হামজা তিনি মধুমালতী কাব্যের রচয়িতা।

  •  পুঁথি সাহিত্য ধারা দুটি কাব্যের নাম গাজী কালু চম্পাবতী ।


Post a Comment

0 Comments