পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলার ধানখালীতে ১,০০০ একর জমির উপর নির্মিত হয়েছে দেশের সর্ব বৃহৎ  তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র -পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র।বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যৌথ ভাবে চীনের চায়না মেশিনারিজ কোম্পানি এবং বাংলাদেশের নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৬৬০ মেগাওয়াট এর মোট ২ টি ইউনিট নির্মাণ করা হয়েছে যার ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট।


পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র


পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে। ২০১৪ সালে এই সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছিল। নির্মাণের কাজ করেছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। আড়াইশো কোটি ডলার ব্যয়ে এই কেন্দ্র নির্মাণের সিংহভাগ অর্থায়ন করেছে চীন। এরপর ২০১৬ সালের অক্টোবরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


পায়রায় কত মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করেছে?

এই কেন্দ্রের থেকে প্রতিদিন ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ কেন্দ্র।

বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে তেল বা ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কুইক রেন্টালের আরেকটি বিকল্প তৈরি হবে।

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু


পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সোয়া এক বছর আগে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেলেও, সঞ্চালন অবকাঠামোর কারণে গত এক বছরে কাজে লাগানো যায়নি।পরীক্ষামূলক চালানোর পর ২০২০ সালের ১৫ই মে প্রথম কেন্দ্রটি পুরোপুরি উৎপাদনে আসে। আর দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরু করে সেই বছরের ডিসেম্বর মাসে। তবে সঞ্চালন লাইন পুরোপুরি নির্মাণ শেষ না হওয়ার কারণে সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়নি।

এখন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত, আমিনবাজার-মাওয়া-গোপালগঞ্জ- মোংলা পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন তৈরি করা হয়েছে।বর্তমানে প্রতিদিন এই প্ল্যান্টে ৭০০ থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০ মার্চ ২০২২  উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কেন্দ্রের থেকে প্রতিদিন ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।

কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে।

এক নজরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত

  • বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (মেঃওঃ): ২৫,৫১৪*
  • সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন (মেঃ): ১৩,৭৯২ (২৭ এপ্রিল ২০২১)
  • গ্রাহক সংখ্যা: ৪ কোটি ২১ লক্ষ
  • মোট সঞ্চালন লাইন (সা.কি.মি.): ১৩,২১৩
  • গ্রিড সাব-ষ্টেশন ক্ষমতা (এমভিএ): ৫৫,৩০৭
  • বিতরণ লাইন (কি.মি.): ৬ লক্ষ ২১ হাজার
  • বিতরণ লস: ৮.৪৮% (জুন ২০২১)
  • মাথাপিছু উৎপাদন (কিঃওঃআঃ): ৫৬০
  • বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠী: ১০০%
  • প্রি-পেইড মিটারস্থাপন: ৪৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৫৮
  • সোলার হোম সিস্টেম: ৬০ লক্ষ

 

Post a Comment

0 Comments