বেলাল চৌধুরী
কলকাতায় ষাটের কবিদেরই একান্ত সহবাসী বেলাল, সতীর্থ-পরিবেশক প্রভাব যে জীবনে ও সাহিত্যে কী বিপুল ভ‚মিকা উদযাপন করে, তা আরও একবার প্রমাণিত হয় বেলালের কবিতায়।আবদুল মান্নান সৈয়দ করতলে মহাদেশ-এ লিখেছেন : ‘প্রায় তিন দশক জুড়ে বিহার করলেও বেলালকে সম্ভবত ষাটের দশকের কবি বলেই চিহ্নিত করতে হয় শেষ পর্যন্ত। কবি হিসেবে এই দশকেই তিনি পূর্ণ রূপে ও তাপে ফুটে উঠেছেন।
কবি বেলাল চৌধুরী এর কবিতা
একটি নিখাদ দুঃখের নির্মাণেকেটে যেতে পারে কয়েক কোটি আলোকবর্ষ,দুঃখ বিষম ভারি বোঝা, সিন্দাবাদের বুড়োর অধিক।
কবির দিব্যচেতনায় সংযুক্তি, প্রধানত পরোক্ষ প্রতিক্রিয়াবাদী রাজনীতি। ফলে শরণার্থী, শোষিত মানুষ, মৃত্যু বিশেষ প্রত্যয় পায় কবিতায়। স্বচ্ছতোয়া স্বতঃস্ফ‚র্ত ৬৪ বাংলাদেশের সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত আঙ্গিকে উদ্গত যাবতীয় জীবন্ত সব চিত্রপ্রতীক। কবিতার রাজসিক জয়যাত্রায় তিনি এখনও সজীব প্রাণপুরুষ। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ বেলাল চৌধুরীর কবিতা (১৯৭৩), আত্মপ্রতিকৃতি, স্থির জীবন ও নিসর্গ (১৯৭৫), স্বপ্নবন্দী (১৯৭৯), জল বিষুবের পূর্ণিমা (১৯৮৫), প্রতিনায়কের স্বগতোক্তি (১৯৮৬), সেলাই করা ছায়া (১৯৮০), কবিতার কমলবনে, যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে (১৯৯৭), বত্রিশ নম্বর (১৯৯৭), স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল (২০০১), বিদায়ী চুমুক (২০১০) প্রভৃতি।
0 Comments